সব স্ত্রীরাই চায় স্বামীকে তার নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে। সব নারীই প্রত্যাশা করেন, স্বামী নিজের সব কিছু দিয়ে একমাত্র তাকেই ভালোবাসবে। কিন্তু সবার তো আর এমন ভাগ্য হয়না । তবে আপনি কিছু বিষয়ে দৃষ্টি রাখলে স্বামীর ভালোবাসা অর্জন করা খুবই । আসুন জেনে নেই দেই টিপস গুলো।
- স্বামীর চোখে চোখ রেখে কথা বলুননঃ আপনার চোখের ভাষায় স্বামী কে বুঝিয়ে দিন আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন। বুঝিয়ে দিন আপনার ভালোবাসাতেই আছে তার জন্য প্রশান্তি।
- নিজেকে গুছিয়ে রাখুননঃ নিজেকে সবসময় গুছিয়ে রাখুন ও পরিপাটি রাখুন। শরীরের যত্ন নিন। স্বামীর পছন্দের পোশাক পরুন ও সুগন্ধী ব্যবহার করুন।
- স্বামীকে সহায়তা করুনঃ স্বামী কে তার বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করুন। এত্ব আপনি তার মনোযোগ পাবেন এবং সংসারের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতাও পাবেন। তার কাজ গুলোকে নিজের কাজ হিসেবে ভাগাভাগি করে নেন।
- তার স্বজনদের প্রতি সামাজিক হোনঃ স্বামীর পরিবারের লোকজন এবং বন্ধুদের নিজের মতো আপন করে নিন। পুরুষ মানুষ সাধারণত সামাজিক ও মিশুকে প্রকৃতির মেয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
- ফোনে কথা বলা বন্ধ করুনঃ দুজন একসাথে থাকলে খুব জরুরী ছাড়া ফোনে কথা বলা বাদ দিন। তবে স্বামী বাহিরে থাকলে ফোন করে খোজ নিতে পারেন আর ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি কতটা মনোযোগী। এবং তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ বা খেয়াল রয়েছে ।
- বিছানায় স্বামীকে বৈধ চাওয়াকে গুরত্ব দিন। সে যেভাবে চাইবে সেভাবেই করার চেস্টা করুন। বিছানায় বেশি সময় রোমান্টিক থাকার চেষ্টা করুন। শুধু সহবাসই রোমান্টিকতা নয়। এই সময় স্বামীকে সব কিছুতে সহায়তা করুন। সবকিছু সহজ করে দিবেন।
- তার কাজের প্রশংসা করুন। কাজে উৎসাহ দিন। তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন । আপনার পছন্দ মত পোশাক কিনে দিন। পছন্দের খাবার রান্না করে সারপ্রাইজ দিতে পারেন।
- পরামর্শ নিনঃ কোনো কাজ শুরু করার আগে মতামত চান। বা সে এই কাজ সমর্থন করে কিনা জেনে নিন। কিভাবে কাজটা করলে সহজ হবে, ভালো হবে তার পরামর্শ নিন। এতে সে ভাববে আপনি তাকে আসলেই গুরুত্ব দেন।
- পজেটিভ দিকগুলো তুলে ধরুনঃ স্বামীর ভালো দিক গুলো তুলে ধরুন। যেমন তার কাজের ভালো দিক, ব্যবহারের ভালো দিক ইত্যাদি। তার সাথে মজা করুন। খেলাধুলা করুন। ছোট কোন বিষয়ে রাগারাগি না করে বুঝিয়ে বলেন।
- কিছু কাজ করা থেকে দূরে থাকুনঃ স্বামীর কোন বন্ধু ভালো লাগে বা ঐ ছেলেকে ভালো লাগে এগুলো বলা থেকে দূরে থাকুন। ছেলেদের সাথে কথা কম বলা বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কম কথা বলা। কম ছবি শেয়ার করা ( যদি স্বামী না চায়)।
আসলে স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের পরিপূরক। তাই দুজকেই দুজনের গুরুত্ব দিতে হবে। দুজন দুজনের কাছাকাছি থেকে প্রেম ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে হবে।