মেয়েদের মাথার চুল দেখলে মারুফের মাথা ঠিক থাকে না। খুব ইচ্ছে হচ্ছে তোমার মাথার হিজাবটা খুলে নেই। তোমার চুলের গন্ধ নিয়ে আমি হারিয়ে যেতে চাই তোমার মাঝে। বিশ্বাস করো আনিকা, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি ।
সবাইকে এক রকম ভাবার কিছুই নেই। সবাই যার যার মতো (আনিকা বলল)। হ্যা, কিন্তু এই কথা বলে তুমি কি বুঝাতে চাইছো আনিকা? বলতে শুধু না, বুঝাতেও চাইছি যে, আপনি সব মেয়েদের যেভাবে নিজের কথা দিয়ে, ভালবাসার নাটক করে কাছে টেনে নিয়েছেন, আবার তাদের ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলেও দিয়েছেন। আপনার সেই নাটকের জালে আমি ধরা দেবো না। হাহাহাহা……… ( হাসতে হাসতে মারুফ) ওহ আচ্ছা এই কথা? হাহাহাহা………
এভাবে হাসবেন না মারুফ। আমি আপনার সম্পর্কে অনেক আগেই জানতে পেরেছি। সুন্দর একটা চেহারার ভিতরের আপনি টা বড্ড চরিত্রহীন। আপনি আমার বান্ধবী লিসার সাথেও ভালবাসার নাটক করে ওর সর্বনাশ করেছেন।
আহা! তুমি তো আর সবার মতো নও আনিকা, আমার মনে তোমার স্থান অন্যরকম। তাচ্ছিল্য ভরে হাসলো আনিকা। আপনাদের মতো মানুষরা এই একই ডায়ালগ সব মেয়ের ক্ষেত্রেই দিয়ে থাকেন। এখন আমার হাতের দড়িটা খুলুন, আর আমাকে বাসায় যেতে দিন। জোর করে আমাকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। খুন করে ফেলবো আমি আপনাকে।
মারুফ, আনিকাকে তুলে এনেছে। আনিকা সব সময়ই ভার্সিটিতে নিজেকে আড়াল করেই চলাফেরা করতো। অনেকটা ধার্মিক টাইপ মেয়ে সে। মাথায় হিজাব দিয়ে চলত সে। তবে ভার্সিটির ক্লাসমেট থেকে শুরু করে অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের মেয়েদের সাথেও তার খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। এক কথা সে খুব মিশুক স্বভাবের ছিল। তবে শুধু মেয়েদের সাথেই। সে ছেলেদের সাথে কথা বলত না। তার একটা স্বভাব ছিল, সে বলত কম, শুনত বেশী। তাই সব মেয়েরা তার কাছে সব কথা শেয়ার করতে পছন্দ করতো। আবার সে খুব বিশ্বস্তও ছিল। কারো কথা কারো কাছে বলত না।
এই মারুফ সম্পর্কে আনিকা এখন পর্যন্ত ৫, ৬ জন মেয়ের কাছ থেকে শুনেছে। মারুফ তাদের সাথে মিথ্যে প্রেমের নাটক করে তারপর কিছুদিন পর ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। সেই মারুফ কিনা এখন আনিকাকে চায়……… (ভাবতেই আনিকার শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠে) । ছিঃ,মানুষ এতোটা খারাপ হতে পারে?? ( মনে মনে বলছে আনিকা)